সড়ক যন্ত্রণা অব‍্যাহত : বিপদ হাতে নিয়েই যানবাহনের যাতায়াত শহরের রাস্তায়

19th September 2020 7:51 pm বর্ধমান
সড়ক যন্ত্রণা অব‍্যাহত : বিপদ হাতে নিয়েই যানবাহনের যাতায়াত শহরের রাস্তায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( দুর্গাপুর ) :  বেহাল হয়ে পড়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ঊনত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন বনফুল সরনী রোড। মাস খানেক আগে  এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সর জমিনে বনফুল সরণির এই বেহাল  রাস্তা দেখেও গেছেন।সগরভাঙার বেসরকারী বেশ কিছু কারখানায় পণ্য পরিবহনের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে এই বনফুল সরনীর রাস্তা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ মজার কথা এই রাস্তায় পণ্য পরিবহনের জন্য টোল ট্যাক্স আদায় করা হয়, আর রাস্তা রয়ে গেছে সেই কঙ্কালসার চেহারায়। রঞ্জিত তাঁতি নামে এক ট্রাক চালক বলছেন, আমরা বলেছি রাস্তা বেহাল রয়েছে যখন টোল ট্যাক্স দেব কেন, উত্তরে টোল ট্যাক্স আদায়কারী সংস্থার কর্মীরা বলছেন টোল ট্যাক্স না দিলে তাদের গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা সত্যি রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে, বাড়ছে দুর্ঘটনা, ইতিমধ্যে এ. ডি. ডি. এ কে চিঠি দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বনফুল সরণির বেহাল রাস্তার কাজ শুরু করার জন্য জানানো হয়েছে, টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে। একই সাথে চন্দ্রশেখর বাবু জানান, দায়সাড়া ভাবে কাজ করলে হবে না বেশ কয়েক লক্ষ টাকা এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ করতে হবে আর সেটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে মিটবে সমস্যাও । কিন্তু দুর্গাপুর  নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন, দুর্গাপুর নগর নিগম যাদের টোল ট্যাক্স আদায়ের বরাত দিয়েছে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আরো তিন বছর মেয়াদ এদের বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বোর্ড মিটিং এ কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই কিভাবে মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল টোল ট্যাক্স আদায়কারী সংস্থার? এইদিকে বেহাল বনফুল সরণির রাস্তার ছবি দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছে,এইভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে বলে নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান  চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।এইদিকে দূর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্থি জানিয়েছেন, এ. ডি. ডি. এর রাস্তা ওটা এ. ডি. ডি. এ আধিকারিকরা উত্তর দিতে পারবে, আর রইল টোল ট্যাক্স আদায়কারী সংস্থার টেন্ডার উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কিভাবে এক্সটেনশন করা হয়েছে সেটাও ফিনান্সিয়াল আইন মেনেই কাজ হয়েছে, অস্বচ্ছতা আর অনিয়ম কোনোটাই হয়নি, সুতরাং কে কি বললো জানিনা, আর ভুল করলে সরকার আছে, অডিট রিপোর্ট আছে তারা তদন্ত করুক। সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে রয়েছে সগরভাঙার বনফুল সরণির রাস্তা, খুব তাড়াতাড়ি সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানালেন চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।